মোবাইল ফোনে প্রেম-বিয়ে, তিন দিন পর মিললো ছাত্রীর মরদেহ
বিয়ের চারদিন পর স্বামীর বাসা থেকে বিথী আক্তার (১৯) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, বুধবার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকোলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিথী দোহাকোলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহর স্ত্রী। বিথী পৌর শহরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বিথী আক্তারের সঙ্গে আব্দুল্লাহর তিন মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৫ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় বিথী। এদিন বিথী বাসায় না গিয়ে বাঘারপাড়ায় আব্দুল্লাহর বাসায় চলে আসেন। এখানে গোপনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানান বিথী আক্তার।
আরও পড়ুন : ঈদুল আযহায় প্রাথমিকের ছুটি ১৯ দিন
পুলিশ আরও জানায়, বিয়ের তিনদিন পর মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পরেন বিথী। রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য আব্দুল্লাহর মা ডাকাডাকি করেন, এ সময় স্বামী আব্দুল্লাহ দেখেন স্ত্রী বিথী পাশে নেই। খোঁজাখুঁজি পরে তারা দেখেন পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে বিথীর দেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিথীর চাচা বাবু জানান, হত্যার পর বিথীর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মরদেহ দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ফাঁস দিলে দাগ থাকবে, কিন্তু কোনো দাগ নেই। এ ঘটনায় আমরা হত্যা মামলা করবো।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দীন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।