হর্ন দিলে চাকার নিচে পড়ে যায় মিম, পরে পালিয়ে যায় গাড়ি
সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা মমতাজ মিম নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে এক কাভার্ড ভ্যান চালককে আটক করেছে পুলিশ। আটক চালকের নাম সাইফুল ইসলাম। সঙ্গে থাকা মশিউরকেও আটক করা হয়েছে। তিনি গাড়িতে থাকা পণ্যসামগ্রীর মালিকপক্ষের প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১০টার পর চট্রগ্রাম থেকে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের ঢাকায় আনা হচ্ছে।
ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে গাড়ির চালক সাইফুল ইসলাম ও সঙ্গে থাকা মশিউরকে আটক করা হয়েছে। চালক সাইফুলের হালকা যান চালানোর লাইসেন্স থাকলেও তিনি চালাচ্ছিলেন ভারী যান। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মশিউর গাড়িতে থাকা পণ্যসামগ্রীর মালিকপক্ষের প্রতিনিধি।’
পুলিশ জানিয়েছে, চালক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, মিমের স্কুটির পাশ দিয়ে অতিক্রমের সময় হর্ন দেন তিনি। এতে প্রীতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ির সামনে পড়ে চান। পরে চাকার নিচে চলে গেলে তিনি পালিয়ে যান। ঘটনার পর মাইশাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন: বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৮০০ শিক্ষার্থী
এর আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের উপরে গাড়ি চাপায় মাইশা মমতাজ মিম নামে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিল। ঢাকায় তার বাসা উত্তরায়। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। হাসপাতালে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইশার মামা তার লাশটি গ্রহণ করেন।
মিমের মৃত্যুর পর পুলিশের খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। তবে কাছাকাছি একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মাইশার পাশ দিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান চলে যাচ্ছে।’