ছিনতাইয়ের অভিযোগে ‘৭৩ বছরের’ শিক্ষককে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ
ছিনতাই-চাঁদাবাজির মামলায় ‘৭৩ বছর’ বয়সী এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক নায়েব উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা আহম্মেদ।
ওই শিক্ষকে বাড়ি বাগমারা উপজেলার মুগাইপাড়া গ্রামে। একই মামলায় উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জান মোহাম্মদসহ (৫০) সাতজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। গত শনিবার জেলার মোহনপুর উপজেলার হরিদাগাছী গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন বাগমারা থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় মোয়াজ্জেমের অভিযোগ, গত শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তার ভাতিজা স্বর্ণ ব্যবসায়ী জুবায়ের হোসেন (২২) বাড়ি ফেরার পথে টাকা ছিনতাই হয়। তিনি শিকা মির্জাপুর বিরহী বটতলা মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় পথ রোধ করে আসামিরা মারধর করে। এ সময় ১ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষেয়ে মামলার প্রধান আসামি জান মোহাম্মদ দাবি করেন, ওই দিন রাজশাহীতে ছিলেন তিনি। কীভাবে বা কেন এই মামলা হয়েছে, তা জানা নেই। তবে মামলার তদন্ত না করে ৭৩ বছরের বৃদ্ধকে ধরে নিয়ে যাওয়া সঠিক হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।
আরো পড়ুন: সবার অজান্তে পানিতে ডুবে গেল দুই ভাই
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েব উল্লাহর ছেলে মাহবুব রহমানও শিক্ষক। তিনি রাজশাহীর মচমইল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। মাহবুব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবার বয়স ৭৩ বছর। ১৪ বছর আগে মোহনপুর উপজেলার চকবিরহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন তিনি। শনিবার রাতে হঠাৎ পুলিশ এসে বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশ তদন্ত না করেই ধরে নিয়ে যায় বাবাকে।
জানা গেছে, নায়েব উল্লাহর বয়স মামলায় ৫৩ বছর লেখা হয়েছে। তবে চালানের ফরমে বয়স লেখা হয়েছে ৬০ বছর।
এ বিষয়ে ওসি মোস্তফা আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার এজাহারে নাম দেখে নায়েব উল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তদন্তে জানা যাবে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না।