মা বলেছিল, ‘আজকে তোর আসার দরকার নাই’
কয়েক দিন বান্ধবী সুমাইয়ার বাসায় ছিলেন সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি (২২)। শান্তিবাগের বাসায় ফেরার পথে মায়ের ফোন, ‘তোর মামা চট্টগ্রাম থেকে আসছে, বাসায় থাকার সমস্যা, আজকে তোর আসার দরকার নাই, বান্ধবীর বাসায় থাক।’ কিন্তু কে জানতো কলেজছাত্রী সামিয়া আর কখনোই বাসায় ফিরবেন না।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। সেই গুলিতে নিহত হন রিকশায় থাকা প্রীতি। গুলিতে মারা যান টিপুও।
বান্ধবী সুমাইয়া বলেন, মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পশ্চিম শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন প্রীতি। রিকশার ওঠার কিছুক্ষণ পরই একটি শব্দ শুনেন তারা। এরপরই দুইজনই রিকশা থেকে পড়ে যান। প্রীতির গায়ে রক্ত দেখে আশেপাশের লোকজন বলেন গুলি লেগেছে। ঢাকা মেডিকেলে আসার পর প্রীতিকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: মামলা করবে না প্রীতির পরিবার, বললেন ‘বিচার কার কাছে চাইবো?’
এদিকে ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেছেন প্রীতির মা। মেডিকেলে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন তিনি। আমি কী জানতাম এমন দুর্ঘটনা ঘটবে- এই বলে মাতম করছেন তিনি।
প্রীতির বাবা জামালউদ্দিন বলেন, প্রীতির মোবাইল থেকে একটা কল আসে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে আসতে বলে। তখনো এমন দুর্ঘটনার কথা জানতাম না। এসে দেখি প্রীতি আর নেই। তার পিঠে গুলি লেগেছে।