পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করল পাবজিতে আসক্ত কিশোর
পাবজি গেম খেলে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। এর প্রভাবে পুরো পরিবারকে গুলি করে হত্যা করেছে সে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এমনটি জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, লাহোরের কাহনা এলাকায় গত সপ্তাহে এক ডিভোর্সি নারী নাহিদ মুবারাক (৪৫), তার ছেলে তৈমুর (২২) ও দুই কন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পর ওই পরিবারে একমাত্র জীবিত ছিল নাহিদ মুবারাকের ১৪ বছর বয়সী কিশোর ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবজি খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্কুলছাত্র হত্যা
লাহোর পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাবজি আসক্ত কিশোর তার মা ও ভাই-বোনকে হত্যার কথা স্বীকার করে। অনলাইনে দীর্ঘ সময় গেম খেলার কারণে ওই কিশোরের কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: পাবজি খেলতে খেলতে রাস্তা পার, প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের
পুলিশ আরও জানায়, নাহিদ পড়াশোনা বাদ দিয়ে পাবজি খেলার কারণে প্রায়ই ওই ছেলেকে বকাঝকা করতেন। একদিন নাহিদ ওই কিশোরকে পাবজি খেলার জন্য বকাঝকা করেন। পরে সে একটি পিস্তল নিয়ে পুরো পরিবারকে ঘুমের মধ্যে হত্যা করে। পরদিন ওই কিশোরের মাধ্যমে ঘটনাটি প্রতিবেশীদের নজরে আসে।
এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই সময় অভিযুক্ত কিশোর জানায়, সে ওপরের তলায় ছিলো। সে জানে না, কীভাবে তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবজি, ফ্রি-ফায়ারসহ সব অনলাইন গেম বন্ধের নির্দেশ
পুলিশ জানায়, নাহিদ তার পরিবারের সুরক্ষার জন্য লাইসেন্স করা পিস্তল কিনেছিলেন। হত্যার পর পিস্তলটি ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়। সেটি এখনো উদ্ধার হয়নি। তবে ওই কিশোরের রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।