১৪-১৬ লাখ টাকার চুক্তিতে ফাঁস হয় প্রশ্ন
কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স কার্যালয়ের ‘অডিটর’ পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও জনপ্রতিনিধিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
আরও পড়ুন: মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস: চাকরি হারালেন ব্যাংক কর্মকর্তা
তাদের কাছ থেকে ছয়টি ইয়ার ডিভাইস, ছয়টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার, পাঁচটি ব্যাংকের চেক, সাতটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০টি স্মার্ট ফোন, ছয়টি বাটন মোবাইল, ১৮টি প্রবেশপত্র এবং ফাঁস হওয়া তিন সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এসব ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবির প্রশ্ন ফাঁস মামলায় অভিযুক্ত ৮৭ শিক্ষার্থী (তালিকা)
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ৫৫০টি অডিটর পদে নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা হয়। গতকাল বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ হয়। একে কেন্দ্র করে আগে থেকেই জালিয়াতি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি করে এনএসআই।
ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে একপর্যায়ে একটি অসাধু চক্রের জালিয়াতির তথ্য পাওয়া যায়। পরে রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পরীক্ষার্থী প্রতি ১৪ থেকে ১৬ লাখ টাকার লিখিত চুক্তি হয়।