নায়িকা শিমু হত্যার দায় স্বীকার করেছে নোবেল: পুলিশ
পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে শিমুর স্বামী জানিয়েছেন- পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্বামীই শিমুর হত্যাকারী। হত্যার পর তার লাশ গুমে সহায়তা করেন গাড়িচালক।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রছাত্রীদের আসামি করে পুলিশের মামলা
এদিকে শিমু হত্যার ঘটনায় কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নিহতের ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন। ছয়জন আসামির তালিকায় শিমুর স্বামী নোবেল, তার বন্ধু ফরহাদ এবং তাদের গাড়িচালককেও রাখা হয়। মামলা হওয়ার পর নোবেল ও ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নোবেলের গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
বোন জামাইকে কেন সন্দেহ করছেন, জানতে চাইলে খোকন বলেন, ‘তার গাড়িতে রক্ত ছিল, তারা রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ছিল না, এ সময়ের মধ্যেই লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় পাশে থাকা জায়েদ খান বলেন, ‘ড্রাইভারকে ধরার পরে সে সব বলেছে।’
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। তিনি নিখোঁজ জানিয়ে সোমবার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বামী নোবেল। এদিকে সোমবার সকালে কদমতলী এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলনের শুরু যেভাবে, যে কারণে
সিনেমার পাশাপাশি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন শিমু। সাম্প্রতিক সময়ে 'ফ্যামিলি ক্রাইসিস' নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'বর্তমান' সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর ২৩টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন তিনি।