‘বেরোবিতে চান্স ১০০% করে দিব’ ফেসবুক গ্রুপের অন্যতম হোতা গ্রেপ্তার
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নামে ফেসবুকে প্রতারণায় জড়ায় একটি চক্র। ‘বিআরইউআর চান্স ১০০% করে দিব’ নামের ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতেন। আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে নড়াইলের লোহাগড়া থেকে ওই চক্রের অন্যতম হোতা মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর একটি সরকারি কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ফেসবুকে একটি চক্র প্রলোভন দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার টিম বিষয়টি জানতে পেরে অভিযানে নামে।
আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবিতে আসন ফাঁকা ১০২৮টি
সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘বিআরইউআর চান্স ১০০% করে দিব’ নামের গ্রুপ থেকে একটি বার্তা ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। এতে বলা হয়, যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাননি, তাদের চান্স পাইয়ে দেব। এতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকা। অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে ৮৫০ টাকা।
“একই গ্রুপ থেকে আরেকটি বার্তা শেয়ার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, যারা রেজাল্ট চেঞ্জ করার জন্য ৮৫০ টাকা দিয়েছেন তাদের রেজাল্ট চেঞ্জ হয়েছে। বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাবেন। বাকি টাকা ভর্তির পর দেবেন।”
আরও পড়ুন: বাসভবন থেকে সারাদিন বের হননি শাবিপ্রবি উপাচার্য
বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, সিআইডি সাইবার টিম এ ব্যাপারে তৎপর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বেশ কয়েক দিন অনুসন্ধান চালানোর পর অবশেষে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করা হয়।
“অনুসন্ধানে জানা যায়, এই প্রতারক চক্রটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গেও যুক্ত। চক্রটি বিভিন্ন মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০১৭ সালে তার ছোট ভাইকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একজনকে তিন হাজার টাকা দিয়ে প্রতারিত হন মেহেদী। এখান থেকেই তার এই প্রতারণার শুরু। তিনি বিভিন্ন সময়ে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: আইআইইউসির ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বহিষ্কার
গ্রেপ্তারের সময় মেহেদীর কাছ থেকে বিকাশ সিমসহ মোট ১০টি সিম, তিনটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।