কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারে পর্যটককে গণধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মামলার ৪ আসামীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থাকায় এ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস। তিনি বলেন, মামলার আসামিরা হলেন প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার জয়া, বাবু ও আটক হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন জোটন। বাকি দুজন অজ্ঞাত।
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে তুলে নিয়ে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর একটি সিএনজিতে করে তাকে একটি গেস্ট হাউজে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে র্যাব-১৫ এর সহযোগিতা হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেলে অভিযান চালিয়ে ঐ রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: হাতে-পায়ে ধরেও মন গলেনি ধর্ষকদের
ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন তারা। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে, কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ৫ জানুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু
ওই নারী আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়রি করার পরামর্শ দেয়। তারপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন র্যাবকে। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে।
ভুক্তভোগীর স্বামী আাক্ষেপ করে বলেন, আমি বারবার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পেয়েছি সেই খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভালো নয়, তাকে নিয়ে চিন্তায় আছি।