আন্দোলনে উসকানির অভিযোগে গ্রেফতার ৫
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এসব অপপ্রচার অব্যাহত রাখতো তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্বামীবাগের মিতালী স্কুল গলি রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আরও পড়ুন: যেকোনো সময় গ্রেফতার তাহসান-মিথিলা-ফারিয়া
তিনি বলেন, উসকানি ও অপপ্রচারের জন্য তাদের টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন ক্লোজ গ্রুপ রয়েছে। নাশকতা ও জ্বালাও-পোড়াও সংগঠিত করতে উসকানি দিতো তারা। এ চক্রের একজন ছাত্র শিবিরের সঙ্গে জড়িত।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (২৯), মো. ওয়ায়েজ কুরুনী (২৭), মো. তাওহীদুল ইসলাম (২৬), মো. গাজী সাখাওয়াত (২৯) ও মো. হাবিবুর রহমানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয়- নগদ দুই লাখ টাকা, ল্যাপটপ, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ও বিভিন্ন দেশবিরোধী, নাশকতা ও উসকানিমূলক লিফলেট।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক ৪
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব সাইবার মনিটরিং সেলের নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিংয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয় যে, অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন সংবেদনশীল বিষয়ে মিথ্যা এবং অতিরঞ্জিত তথ্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বামীবাগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ ও জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব মুখপাত্র জানান, বর্তমান রাষ্ট্রের উন্নয়নের গতিধারাকে বানচাল ও নস্যাৎ করার জন্য রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করতে ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র, সরকারের সম্পদ ও জনসাধাণের জানমালের ক্ষতি, শান্তিপ্রিয় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা করে তারা। বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের বাইরে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করে তারা। বিগত সময়ের বিভিন্ন ইস্যুসহ সাম্প্রতিক সময়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনকে পুঁজি করে তারা নাশকতার অপচেষ্টা করে।