২০ তলা থেকে পড়ে স্কলাস্টিকার আরিফের মৃত্যু, পুলিশ বলছে আত্মহত্যা

 ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু
ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু  © প্রতীকি ছবি

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলের ২০ তলা ভবন থেকে পড়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে মারা যান স্কলাস্টিকার এ লেভেলের শিক্ষার্থী আরিফ কবির। আরিফ আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। গত ৯ নভেম্বর অভিমান করে সে ঢাকার তাজমহলের বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। এদিকে প্রতিবেশিরা বলছেন মৃত আরিফ মাদকাসক্ত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর তাজমহল রোডের বাসায় গিয়ে আরিফ কবিরের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তার নানা শামসুজ্জোহা বলেন, ‘আমার নাতি সেদিন অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল সত্যি। কিন্তু আত্মহত্যা করার মতো ছেলে সে নয়।’

কী নিয়ে আরিফ অভিমান করেছিল জানতে চাইলে এ বিষয়ে নানা শামসুজ্জোহা কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেখভালের জন্য আমার মেয়ে ফারহানা দোজা এরইমধ্যে চট্টগ্রামে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে কী জানা যায় তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা এ বিষয়ে জানাতে পারবো।’

আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘তার মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করলে বোঝা যাবে সর্বশেষ কাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে কিনা তাও জানা যাবে। এছাড়া যে হোটেলে এ ঘটনা ঘটেছে, সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যালোচনা করলেও প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে। এছাড়া আমরা আর কিছু বলতে চাই না।’

ভবনের প্রতিবেশীরা বলেন, ‘আমাদের ভবনের তিনতলায় প্রায়ই উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি শুনতে পাই। আমাদের ধারণা, আরিফ মাদকাসক্ত। আরিফের বাবা এনামুল কবির প্রায় ৩ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। ভবন মালিক ও আরিফের নানা শামসুজ্জোহা চারতলায় থাকেন। ভবনের তিনতলায় থাকেন তার মেয়ে ফারহানা দোজা। সঙ্গে থাকতো দুই ছেলে ও এক মেয়ে।’

চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে রেডিসন ব্লু হোটেল থেকে জানানো হয়, সন্ধ্যায় নাশতা করতে এসে একজন ২০ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছি। হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, সে একাই সন্ধ্যায় নাশতা করতে এসেছিল। এছাড়া তার মোবাইল নম্বর পর্যালোচনা করে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত আরিফ ৯ নভেম্বর বাসা থেকে বের হয়ে যায় বলে তার মা আমাদের জানিয়েছে। ৯ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত তার অবস্থান শনাক্ত এবং কার কার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তা পর্যালোচনা করছি। নিহতের মা আরও জানান, ১৫ নভেম্বর বিকালে ফোন করে আরিফ তাকে জানিয়েছিল, সে দ্রুত বাসায় ফিরে আসবে।’


সর্বশেষ সংবাদ