আহ্সানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত, তিন ব্যাংকের পরীক্ষা স্থগিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২১, ০৯:০৭ PM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১, ০৯:০৭ PM
১৩ ও ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সোনালী, বিডিবিএল ও জনতা এই তিন ব্যাংকের দুই পদের লিখিত পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দুটি নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল আহ্সানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে আহ্সানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কারণ দর্শানোর নোটিশের বিপরীতে গতকাল এ তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছে আহ্সানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর উত্তরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টির দায় স্বীকার করেছে। এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বাংলাদেশ ব্যাংকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
গত ৬ নভেম্বর সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রুপালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী।
একাধিক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ ছিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই ১০০টি প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল ১১ নভেম্বর দায় স্বীকার করে ব্যাখ্যা দেয় আহ্সানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষাটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মামলার কার্যক্রম চলমান থাকায় ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামী ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় গতকালও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার জানিয়েছেন, চক্রটি এ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্সানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।