ছাত্রীকে অপহরণের ২৫ দিন পর উদ্ধার, কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার

গ্রেফতার হওয়া কিশোর গ্যাং লিডার আরিফ
গ্রেফতার হওয়া কিশোর গ্যাং লিডার আরিফ  © টিডিসি ফটো

অপহরণের ২৫ দিন পর সুনামগঞ্জে অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী সেই কিশোর গ্যাং লিডার আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ জুলাই) ওই অপহরণ মামলার প্রধান আসামি জেলার তাহিরপুর উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের সেই বখাটে পিকআপ চালক আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোর গ্যাং লিডার আরিফ উপজেলার বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনের ছেলে।    

রবিবার তাহিরপুর (সার্কেল) এএসপি মো. বাবুল আখতার জানান, থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল রবিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তাহিরপুর-আনোয়ারপুর সড়কের মধ্যতাহিরপুর সড়ক হতে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজতে থাকা অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, কলোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকায় সুনামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে থাকা এক কলেজছাত্রীকে তাহিরপুর উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের কিশোর গ্যাং লিডার  আরিফ হোসেন (১৭ নামে এক পিকআপ চালক প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। বখাটে আরিফ তার কয়েক সহযোগীসহ কিশোর গ্যাংয়ের সহায়তায় গত ১৬ জুন দুপুরের দিকে ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

দিনভর খোঁজ না মেলায় আইনি সহায়তা পেতে ঘটনার রাতেই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারে তাহিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর তিনজনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ২১ জুন থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন কলেজছাত্রীর বাবা। সাধারণ ডায়েরি ও পরবর্তীতে অপহরণ সহায়তার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, অপহরণ করত সহায়তা করার অপরাধে ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

রবিবার ওই কলেজছাত্রীর বাবা-মা জানান, গত ২৫ দিন অপহরণকারীর চক্রের কবলে থাকায় মামলা তুলে নিতে আসামির পরিবারের লোকজন নানাভাবে হুমকি দেয়ার পর মামলা তুলে না নেয়ায় ভিকটিমকে জিম্মি করে ফের মামলা তুলে নিতে একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে শেয়ার, কমেন্ট করে। এতে আমাদের পারিবারিক, সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্য করা, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির করে ফেলে দেয়াসহ অভিযুক্তরা আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের মেধাবী শিক্ষা জীবন, ব্যাক্তিগত জীবনের নিরাপত্তা হুমকি এমনকি আত্মহত্যার প্ররাচনায় দিকে ধাবিত করে। এতে  আসামি ও তাদের লোকজন নতুন করে সাইবার ক্রাইম করেছে।

তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিম উদ্ধার ও প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ মামলায় আরো এক আসামি পলাতক রয়েছে তাকেও গ্রেফতার করা হবে এবং চলমান তদন্তে যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হবে ওই একই মামলায় সংশ্লিস্ট আইনের ধারা যুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ