গণপূর্ত কার্যালয়ে সশস্ত্র ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ০৮:৫৫ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০২১, ০৮:৫৫ PM
পাবনায় গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে সশস্ত্র ঠিকাদারদের মহড়ার ফলে সেখানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যালয়টির কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। গত ৬ জুন এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ হলে তা আলোচনায় আসে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গত রোববার (৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন গণপূর্ত কার্যালয়ে ঢোকেন। ফারুকের পেছনে শটগান হাতে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু ছিলেন। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সেদিন বেলা ১২টা ১২ মিনিটে তারা কার্যালয় ত্যাগ করেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে গণপূর্ত কার্যালয়ের এক কর্মী বলেন, প্রভাব বজায় রাখতে ভিন্ন কাজের দরপত্র নিজেদের আয়ত্তে নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদার নেতারা। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলেও কোনো হুমকি দেননি।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়লে পেছাবে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা
তারা কোন খারাপ আচরণ করেননি বলে জানান পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। এদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্র হাতে অনেকে এসেছে দেখেছি।’
এভাবে যাওয়া উচিত হয়নি বলে স্বীকার করেন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন। অস্ত্র হাতে থাকা এ আর খান মামুন বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ অস্ত্র নিয়ে আমি ব্যবসায়িক কাজে ইটভাটায় যাচ্ছিলাম। পথে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে গণপূর্ত বিভাগে যাই। কিন্তু তিনি না থাকায় আমরা ফিরে আসি। প্রতিপক্ষ ঠিকাদাররা বিষয়টিকে অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহিবুল হক খান বলেন, ‘অস্ত্র আইনের শর্ত ভাঙা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’