আম বাগানে জমজমাট মাদক ব্যবসা, ধরাছোঁয়ার বাইরে গডফাদাররা
রাজশাহী চারঘাট উপজেলার ২নং শলুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তাতারপুর কারিগর পাড়ায় জমে উঠেছে মাদক ব্যবসা। আনাচে কানাচে হাত বাড়ালেই মরণব্যাধি ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক পাওয়া যায়।
অভিযোগ রয়েছে, অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকর্তাদের ম্যাসেজ করেই এসব ব্যবসা হচ্ছে। যদিও মাঝে মধ্যেই র্যাবের অভিযানে কিছু চনুপুটি মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়। কিন্তু গডফাদাররা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তাতারপুর, কারিগর পাড়া, জাহেদ মোড় ও এমাজ কারিগরের আম বাগানে দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। মাঝে মধ্যে দুই একটি চনুপুটি খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মাদক ব্যবসার গডফাদাররা। শুধু তাই নয়, তারা এতটাই ক্ষমতাশালী যে এলাকার বাসিন্দারা তাদের কিছু বলতে পারে না। কারণ কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সহায়তা করছে। ফলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ছে।
আরো পড়ুন পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের
স্থানীয় কোনো ব্যক্তি যদি প্রতিবাদ করতে চায় তখনই মাদকের গডফাদররা প্রাণনাশের হুমকি, মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ারও হুমকি দেন। এছাড়াও এই মাদকের গডফাদারদের সাথে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায় এবং মাদকের গডফাদারদেরকে সাথে নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি অভিযোগও রয়েছে।
শলুয়া ইউনিয়নের মালেকা মোড়ের বাসিন্দা ভ্যানচালক জামাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি বানেশ্বর বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় কারিগর পাড়ার জাহেদ মোড় বাজারের সামনে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরিচয়ে আমাকে দাড় করায়। তারপর আমাদের কাছে টাকা দাবি করেন। তবে আমাদের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে তারা মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এই থানায় আসার পূর্বে তাতারপুর কারিগর পাড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা থাকলেও এখন তা আর দেখা যায় না। কারণ সবসময় চারঘাট মডেল থানার পুলিশ টহলে থাকে কারিগর পাড়ায়।
তিনি বলেন, এমাজ কারিগরের আম বাগানে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনার বিষয়টি আমারা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। চারঘাট উপজেলার প্রতিটা গ্রাম-পাড়া হল্লার যেখানে মাদক ব্যবসা এবং মাদক কারবারিদের তথ্য পাওয়া যাবে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলাকে মাদক সন্ত্রাস মুক্ত করতে চারঘাট মডেল থানার পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত বলেও জানান ওসি।