গোপন বৈঠক করতে মুনিয়ার বোনকে বসুন্ধরার এমডির আল্টিমেটাম!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মে ২০২১, ০৬:৩৩ PM , আপডেট: ২৪ মে ২০২১, ০৬:৩৩ PM
রহস্যজনকভাবে নিহত কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার বোনকে গোপনে বৈঠক করতে চাপ দিচ্ছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। মামলার বিষয়ে মুখ বন্ধ করতে এমনটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুনিয়ার বড়বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।
২১ বছর বয়সী তরুণী মুনিয়া রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের ব্যয়বহুল ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। ঘটনাটি ‘হত্যা’ নাকি ‘আত্মহত্যা’ বিষয়টি এখনও উদঘাটন হয়নি। তবে এ ঘটনায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।
মুনিয়ার মরদেহ যেই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সেখানে নিয়মিত মুনিয়ার সঙ্গে সময় কাটাতেন বসুন্ধরার এমডি আনভীর। মুনিয়ার উদ্ধারকৃত ডায়েরি থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, আনভীর ও মুনিয়ার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
মুনিয়ার মৃত্যু ঘটনা ঘটে গত ২৬ এপ্রিল। ছোট বোনের মৃত্যুর ঘটনায় পরের দিন ২৭ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন নুসরাত জাহান তানিয়া। এরপর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবার। এক পর্যায়ে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চার্টার্ড বিমানযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান।
তবে অজ্ঞাত স্থান থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মামলার বাদি নুসরাতকে মামলাটি তুলে ফেলতে একের পর এক প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নুসরাত নিজেই। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুসরাতের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটানো হচ্ছে। অসৎ উদ্দেশ্যে আনভীর তার লোকজনকে দিয়ে বিভিন্ন পেজ থেকে বুস্টিং করে কুৎসা ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন নুসরাত। মুনিয়ার বড় বোন বলেন, ইন্টারনেটে আমাদের বিরুদ্ধে যেসব আপত্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তার কোনো সত্যতা নেই।
নুসরাত জাহান তানিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বসুন্ধরার এমডি আনভীর একাধিকবার আমাদেরকে হুমকি দিয়েছে। মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়েছে। কিছুদিন আগে এক জীবনের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্তত তিন মাসের জন্য আমাদেরকে চুপ থাকতে বলেছিল। এখন আবার আমাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করতে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। শুরু থেকেই এমন প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। তবে, আমরা তাকে বিচারের মুখোমুখি করব। আমি আমার বোনের হত্যার বিচারই চাই।