যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন মামুনুল হক (ভিডিও)
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০২:২১ PM , আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০২:৫০ PM
চলতি মাসের শুরুর দিকে রিসোর্টকাণ্ডে বেশ আলোচনায় ছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকবার তার গ্রেপ্তারের বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ের বির্তকিত কর্মকান্ডে গত কিছুদিন ধরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন মামুনুল। পরে আজ দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে। এসময় ওই নারী (জান্নাত আরা ঝর্ণাকে) মামুনুল দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করলেও পরে ডজনখানেক অডিও-ভিডিও ফাঁস হওয়ায় এ সম্পর্ক নিয়ে নানা বিতর্ক ছড়িয়েছে। সর্বশেষ ঝর্ণার তিনটি ডায়েরি প্রকাশ পেয়েছে। এরপর বেশ কয়েকবার মামুনুলকে গ্রেপ্তারের বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তখন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা বলছিলেন, পর্যাপ্ত প্রমাণ ও হাইকমান্ডের নির্দেশনা পেলে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে মামুনুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ দুপুর পৌনে ২টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ। এসময় তিনি জানালেন কোন পরিপ্রেক্ষিতে হেফাজত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিসি হারুন-অর-রশীদ বলেন, তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানায় হামলা, রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি এসব মামলার তদন্ত করছিলাম। তদন্তে তার সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি হারুন বলেন, গ্রেপ্তারের পর আজ তাকে মোহাম্মদপুর থানায় রাখা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার রিমান্ড চাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।