মেজর সিনহা হত্যা পরিকল্পিত বলে প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব

 মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান
মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান  © ফাইল ফটো

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে প্রমাণ পেয়েছে র‍্যাবের তদন্ত দল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সিনহাকে হত্যার আগে থেকে তাদের ওপর নজর রাখছিল পুলিশ। সিনহাকে খুঁজতে টেকনাফ থানার পুলিশের দল একটি গ্রামেও গিয়েছিল বলে সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাবের দাবি, সিনহা হত্যা মামলার তদন্তে এটা নিশ্চিত হওা গেছে যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডের আগে থেকে সিনহা ও তাঁর দলের লোকদের খোঁজখবর করছিল পুলিশ। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই দলের সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে প্রদীপ এ ব্যাপারে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

এ প্রসঙ্গে র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার তদন্ত শেষ হয়েছে। এখন অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। খুব শিগগির তা আদালতে জমা দেওয়া হবে।

সিনহা হত্যা মামলায় মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করছে র‍্যাব। তাঁদের ১১ জন পুলিশ সদস্য ও ৩ জন গ্রামবাসী। র‍্যাব জানিয়েছে, আসামির তালিকা থেকে দুজনের নাম বাদ যেতে পারে। আবার নতুন একজনের নাম যুক্ত হতে পারে। তবে কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তাঁর সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তাঁর ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে পুলিশ আটক করে। পরে নুরকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তাঁরাও জামিনে মুক্তি পান।


সর্বশেষ সংবাদ