এমসি কলেজে ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপার দায়ী নন

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজে নতুন যোগদান করা অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন আহমদ ও কলেজটির হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিনের ঘটনার সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। তবে সার্বিক তদন্তের ভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে বলে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কলেজ ছাত্রবাসে ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব সংকট ও ঘাটতি ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে।প্রাথমিক তদন্তে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সুপারিশ করা হয়েছে। সার্বিক তদন্তের পর বিস্তারিত প্রতিবেদনে সব বিষয় উঠে আসবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন আহমদ গত ডিসেম্বর মাসে যোগদান করেছেন। কলেজ পরিচালনায় মাত্র তিন মাস সময় পেয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে গুছিয়ে উঠতে না উঠতেই করোনার বন্ধ শুরু হয়ে যায়। আর হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন ঘটনার দিন ছিলেন না কলেজ ক্যম্পাসে। হোস্টেল সুপারের চাচার অসুস্থতার কারণে তিনি গ্রামের বাড়িতে ছিলেন।’ তাই তাদেরকে এই ঘটনার সাথে দায়ী করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের ঘটনার পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ