ভালোবেসে বিয়ে করা স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ স্বামীর

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ  হাসপাতাল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল  © সংগৃহীত

এক কিশোরী বধূর মুখে এসিড নিক্ষেপ করেছেন তারই স্বামী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের রাণীনগর গ্রামে নিজের বাবার বাড়িতে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হন তিনি।

ভুক্তভোগী ওই তরুণীর নাম মাহবুবা খাতুন। মাহবুবা ওই গ্রামের ট্রাকচালক মাবুদ আলীর মেয়ে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।

বছর দেড়েক আগে ট্রাক হেলপার মুরাদ আলীকে (২৮) পরিবারের অমতে বিয়ে করেন মাহবুবা। গত কয়েক মাস ধরে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

মুরাদ উপজেলার দেউপাড়া ইউনিয়নের কুমুরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সে।

জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করলেও পরে মাহবুবা মুরাদের সঙ্গে আর সংসার করতে চায়নি। তাই বাবার বাড়িতেই থাকত। বৃহস্পতিবার রাতে মাহবুবা তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একই ঘরে শুয়েছিল। শুক্রবার ভোরে জানালা দিয়ে মাহবুবার মুখে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারা হয়। এতে শুধু মাহবুবা আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওসি আরও জানান, মাহবুবা এবং তার মা জানালার পাশ থেকে মুরাদকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। মুরাদ বর্তমানে পলাতক। তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওসি যোগ করেন, আমরা ধারণা করছি এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু সেটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে এতটুকু বলতে পারি মুখে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারা হয়েছে। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন বলেন, দাহ্য পদার্থে মাহবুবার মুখের বাম অংশ পুরোটা পুড়ে গেছে। এছাড়া গলা ও বাম হাতের কনুই পুড়ে গেছে। পোড়া ক্ষত এসিডের মতোই লাগছে। ক্লিনিকাল পরীক্ষা ছাড়া এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।


সর্বশেষ সংবাদ