আদালতে আইনজীবীর জিম্মায় মিন্নি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫৫ AM , আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:১৫ PM
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করা হবে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ বুধবার রায় ঘোষণা করবেন বিচারক।
মামলার আসামিদের মধ্যে রিফাতের স্ত্রী ও মামলার অন্যতম আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি সবার আগে আদালতে হাজির হয়েছেন। তিনি আজ বুধবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে উপস্থিত হন। আদালত প্রাঙ্গণে রয়েছেন তার কয়েকজন স্বজনও।
উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনজীবীর জিম্মায় দিয়েছেন আদালত। এর আগে, মিন্নিকে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলামের জিম্মায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিন্নির জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর মিন্নিকে আমার জিম্মায় জামিনে রাখার আবেদন করি। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের আগ পর্যন্ত মিন্নিকে আমার জিম্মায় দেন।
এ হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার থেকেই আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ মামলায় মূল দোষীদের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, এমন দাবি রিফাতের পরিবারের। অন্যদিকে সঠিক বিচার প্রত্যাশা করছেন মিন্নির বাবা। এ ঘটনায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির দায় আছে কিনা সেদিকে নজর থাকবে সবার।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন। এর মধ্যে মো. মুসাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, মুসার অনুপস্থিতিতেই তাকেসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। যেদিন থেকে মুসা গ্রেফতার হবে সেদিন থেকেই তার বিরুদ্ধে রায়ের দণ্ড কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য , গত বছরের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা।
ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।