রিফাত হত্যা মামলার রায় কাল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:১১ PM , আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:১১ PM
বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেয়া হবে। এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন।
মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন। এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান।
জানা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামীর বিরুদ্ধে ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সকল আসামির পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। সবশেষে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী, ১ নম্বর সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আদালতে উপস্থাপিত যুক্তিখণ্ডন শেষে এ রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
রায়কে ঘিরে বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও টহল দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন আসামি করা হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
এদিকে আগামীকাল আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে রিফাত হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে অপরাধীরা- এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ, মা ডেইজি আখতার এবং একমাত্র ছোটবোন ইসরাত জাহান মৌ-সহ স্থানীয় এলাকাবাসী।