আত্মহত্যা চেষ্টা মজনুর

মজনু
মজনু  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মজনুকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় তিনি কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে শুয়ে পড়েন।

আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে ভিকটিমের বাবা সাক্ষ্য দেন। এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় মজনুকে। তার উপস্থিতিতেই ধর্ষিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বাবা মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি মজনুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্তি আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম তাকে জেরা করেন। এদিন সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামির কাঠগড়ায় মজনু অনেক অসংলঘ্ন আচরণ করেছেন মর্মে সূত্রে জানা গেছে।

আদালতের হাজতখানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ছয়তলা থেকে মজনুকে নিচে নামানোর সময় সে ছয়তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন। এর আগে গত ২৬ আগস্ট কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি চার্জগঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। সেখানে সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দণ্ড থেকে বাঁচার জন্যই মজনু এমন অভিনয় করছে।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট একই আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন। এর পরই মামলার সাক্ষ্য শুরু হলো।

গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওই দিনই আদালত মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় কোনো কার্যক্রম হয়নি।

ভুক্তভোগী ঢাবি ছাত্রী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিই (মজনু) ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তার ভাষ্য— ‘আমি যখন তাকে শনাক্ত করেছি, তখন কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। আমাকে ছবি দেখানো হয়েছিল এবং সময় দেওয়া হয়েছিল। মূলত তখনই আমি আইডেন্টিফাই করেছি এবং নিশ্চিতভাবে আইডিন্টিফাই করেছি। এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই।’

গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গত ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এর পর থেকে মজনু কারাগারে।


সর্বশেষ সংবাদ