করোনায় বেকার আরিফুলের ১১০০ হাঁস মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০৮:৪৪ PM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০৮:৪৪ PM
করোনাকালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিজের চাকরি হারিয়েছিলেন। পরে তিনজন মিলে গড়ে তোলেন হাঁসের খামার। হাঁসগুলোর ওজন প্রায় এক কেজি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই খামারের সব হাঁস বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়।
রোববার (২৩ আগস্ট) রাতে মধুপুর পৌর শহরের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী খামারির।
খামারি আরিফুল ইসলাম নামে ওই যুবক বলেন, ‘নরসিংদীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। করোনাকালে তা বন্ধ হওয়ায় চাকরি হারাই। পরে তিনজন মিলে খামারটি দিয়েছি। ৪৫ দিন আগে খাকি ক্যাম্পবেল জাতের এক হাজার ১০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে খামারটি শুরু করি।’
তিনি বলেন, হাঁসগুলোর ওজন এক কেজি হয়েছিল। এক ক্রেতা হাঁসগুলোর দামও বলেছিলেন দেড় লাখ টাকা। তবে দুর্গাপূজায় হাঁসগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। রোববার রাতেও হাঁসগুলোকে সুস্থ ও স্বাভাবিক দেখি। কিন্তু রাতের কোনো খামারে বিষ দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে খামারে গিয়ে হাঁসগুলোকে মৃত পান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। পরে তারা ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গত ২১ আগস্ট আমার চাচা মিনহাজুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী বোরহান উদ্দিনের বাগবিতণ্ডা হয়।’ ওই ঘটনার জেরে খামারে বিষ দেয়ার ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।
মধুপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ফিল্ড সহকারী ওবায়দুল্লাহ লিটন বলেন, ‘রোগে মৃত্যুর কোনো নমুনা ছিল না হাঁসগুলোর শরীরে, বিষের লক্ষণ পাওয়া গেছে। এতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিষ দিয়ে হাঁসগুলো মেরে ফেলা হয়েছে।’
মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, হাঁসের মৃত্যুর ঘটনা সত্য। তবে কোনো ল্যাব না থাকায় পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা, বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর হয়েছে হাঁসগুলোর। বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে।
মধুপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’