এসএসসি পরীক্ষার দুই কেন্দ্রে ভাংচুর পরীক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:০৯ PM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:০৯ PM
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার দুই কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এসএসসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশত শিক্ষার্থী। উভয় স্কুলেরই দরজা, জানালা ভাংচুর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষায় নন্দকুমার ইনস্টিটিশন কেন্দ্রে ক্যালকুলেটর নিতে বাধা দেওয়ার ঘটনার জেরে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ছাড়াই পরীক্ষার্থীরা গণিত পরীক্ষা দেয়। এ খবরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও কয়েকটি কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটর নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা খারাপ হয়।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। এর জেরে বুধবার নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনে ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, গণিত পরীক্ষার সময় শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে সব ধরনের ক্যালকুলেটর নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। অপরদিকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রেও ক্যালকুলেটর নিয়ে নেওয়া হয়। ফলে গণিত পরীক্ষা খুবই খারাপ হয়।
অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, শিবচরের দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দাম্ভিকতার কারণে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। তারা অনেকদিন ধরেই স্নায়ুযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছেন।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনে ক্যালকুলেটর নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের। এর জেরে বুধবার নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে প্রথমে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রেও হামলা চালায় তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, ক্যালকুলেটর নিতে বাধা দেওয়ার জেরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।