প্রতারক চক্রের টার্গেট গ্রামের শিক্ষিত বেকার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৪৩ AM , আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৪৩ AM
গ্রামের মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের সাথে প্রতরণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ৩০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহূত বিভিন্ন নথিপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া অভিযানে ২০৩ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। প্রতারক চক্রটি ভুক্তভোগী প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ হাজার ৮০০ টাকা করে ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালানো হলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চক্রের ৩০ সদস্য হলেন— মো. বেলায়েত হোসেন, মো. শরীফ, মো. সাইফুল ইসলাম, একরামুল হাসান, মো. গোলাম কিবরিয়া, মহাইমিনুল ইসলাম, মো. সজিব শেখ, মো. তারেক, মিঠুন বিশ্বাস, ফয়সাল আল মাহমুদ, মো. শফিকুল ইসলাম, সুমন সরকার, শান্ত চন্দ্র মিত্র, রেজভী আহম্মেদ, মহসীন হোসেন, লিটন দাশ, মো. হালিম মিয়া, সুমন চাকমা, মেহেদী হাসান, আজিজুর রহমান, আমজাদ হোসেন, পলাশ হোসেন, মো. মোশারফ হোসেন, মো. আজাদ খান, মো. মমিনুর রহমান, কনক মালাকার, সজীব বিশ্বাস, মো. সুমন হোসেন, ইমরান মোল্লা ও শফিকুল ইসলাম।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পদ্ধতিতে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রটি গ্রামের মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। গ্রেফতারকৃত ৩০ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে।
র্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে প্রতারণা করছে। ঐসব আঞ্চলিক অফিসে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে লোক নিয়োগ দেয় তারা। চক্রের মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা নিজেদের ডিস্ট্রিবিউটর ও মার্কেটিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে বেকার যুবক ও তরুণ চাকরি প্রার্থীদের সংগ্রহ করে। এসব চাকরি প্রার্থীদের বলা হয় এক মাসের প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে। পরবর্তীতে তাদের পাঠানো হয় মৌখিক পরীক্ষার জন্য। এরপর চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয় প্রতারক চক্র। এক পর্যায়ে প্রার্থীরা বুঝতে পারে তারা প্রতারিত হয়েছে। টাকা ফেরত চাইলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। চক্রটি তাদের নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতারক চক্র অফিস গুটিয়ে পালিয়ে যায়। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।