শিক্ষা ভবনে টেন্ডারবাজি, সেই শফিকুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০১ AM , আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০১ AM
শিক্ষা ভবনের টেন্ডারবাজির প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত যুবলীগের নেতা মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে শফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে শফিকুলের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শফিকুল ২০১৮-১৯ কর বর্ষ পর্যন্ত তাঁর আয়কর নথিতে মোট সাত কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছে। সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণে দুদকের মনে হয়েছে, সম্পদের অর্জনমূল্য অনেক বেশি।
তদন্তের সময় এ বিষয়ে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর অভিমতসহ অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করা হবে। এসব সম্পদ অর্জনের পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি দুদক। আয়কর নথিতে সাত কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন শফিকুল। কিন্তু এর সপক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
দুদক জানিয়েছে, অবৈধভাবে অর্জিত টাকায় এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিকানা পেয়েছেন শফিকুল। দুদকের হিসাবে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শিক্ষা ভবনে ত্রাসের নাম টেন্ডার শফিক। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রায় সব কাজে তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্য। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সব সরকারের সময়ই তিনি রাজত্ব করে যাচ্ছেন শিক্ষা ভবনে। নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হলেও বর্তমানে তিনি যুবলীগের নেতা। এ পরিচয়েই এখনো পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন টেন্ডারবাজি।
তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম শফিক এন্টারপ্রাইজ। বর্তমানে শুধু রাজধানীতেই তাঁর প্রায় ২০০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকায় রয়েছে পাঁচ-সাতটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট। দক্ষিণখানের ২৩৪ হলান রোডে দুই বিঘার ওপর জমিতে বিশাল বাংলো বাড়িতে তিনি থাকেন।
এ ছাড়া হাতিরপুল, গুলশান, উত্তরায় আছে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট। হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজায় তাঁর ৩০টির মতো দোকান আছে। তাঁর অফিসের ঠিকানা ৬৯ বীর-উত্তম সি আর দত্ত রোড (৫ম তলা), হাতিরপুল, ঢাকা।