বেনাপোলে টার্মিনাল চার্জ ‍দিয়েও সুবিধা পাচ্ছে না যাত্রীরা

  © সংগৃহীত

বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল-এর চার্জ বাবদ ৪২.৭৫ টাকার স্থলে আদায় করা হচ্ছে ৪৫ টাকা। তা সত্ত্বেও প্রদেয় পর্যাপ্ত সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। পাসপোর্ট (পোর্ট অতিক্রম করা) যাত্রীদের রোদ বৃষ্টিতে না ভেজা, বিশ্রাম নেওয়া, পানি ও টয়লেট সুবিধা, যাত্রীর ল্যাগেজ নেওয়ার জন্য ট্রলিসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২০১৭ সালের জুন মাসে এ টার্মিনালটি দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের সুবিধার্থে চালু করে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে এই টার্মিনাল এর অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীর নিকট থেকে এন্ট্রি ফি, ওয়েটিং ফি, সার্ভিস চার্জ ও টার্মিনাল চার্জ বাবদ ৩৮ টাকা ৭৬ পয়সা নিত বন্দর কর্তুপক্ষ। এর ৬ মাস যেতে না যেতে কোন সুযোগ-সুবিধা না বাড়িয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করছে কাগজে কলমে ৪২.৭৫ টাকা। তবে বাস্তবে নিচ্ছে তারা ৪৫ টাকা।

সম্প্রতি ৪৫ টাকা নিয়ে ২০ জন পাসপোর্ট যাত্রীকে বসার কোন সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ায় জনমনে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এছাড়া প্রথমে পুরো টার্মিনাল ভবনের নীচতলা যাত্রীদের জন্য রাখলেও বর্তমানে তার অর্ধেকেরও বেশী জায়গায় কাস্টমসের স্কানিং মেশিন বসানো হয়েছে। এতে করে যাত্রীদের অপ্রতুল জায়গায় গাদাগাদি করে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সারতে হচ্ছে।

ঢাকার পাসপোর্ট যাত্রী হেনা বেগম বলেন, আমাদের নিকট থেকে এই টার্মিনাল থেকে ৪৫ টাকা চার্জ নিচ্ছে । অথচ আমাদের ল্যাগেজ বহন করতে হচ্ছে পয়সা দিয়ে । এবং অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ল্যাগেজ বহন করতে হচ্ছে।
খুলনার আজিম শেখ বলেন, আমাদের নিকট থেকে ৪৫ টাকা চার্জ নিলেও এখানে কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ভিতরে বসার কোন জায়গা নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছনতাও নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের পাশে কয়েকটি ট্রলি অলস পড়ে রয়েছে কেউ ব্যবহার করছে না। যেখানে যাত্রী যাতায়াত হয় প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ হাজার পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ট্রলি চালু করেছি। কিন্তু যাত্রীরা বুঝতে পারছে না ট্রলির ব্যবহার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের এক কর্মচারী বলেন, লোক না থাকায় ট্রলি ব্যবহার হচ্ছে না। কারন এই ট্রলি নোম্যান্সল্যান্ডে গেলে হারিয়ে যেতে পারে। এ কাজের জন্য পর্যাপ্ত জনবল প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ট্রলি চালুর শুভ উদ্বোধন করেন এনবিয়ার চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুুইয়া। সেই উদ্বোধনের পর থেকে এখনো কোন ট্রলি চালু হয়নি। একমাত্র বন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য।


সর্বশেষ সংবাদ