৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে উপকূলে ফেরার পথে জেলেদের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে সাঙ্গু নদীর মোহনায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত পাঁচজন জেলে গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীরা মাছ, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আহত জেলে শওকত হোসেন (৩৫) আনোয়ারার বার আউলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, মাছ শিকারের পর তারা সাগর থেকে ফিরছিলেন। এ সময় একদল জলদস্যু তাদের নৌকায় অতর্কিত হামলা চালায়।

আরও পড়ুন: যেমন কাটছে কবি নজরুল কলেজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব

তার অভিযোগ অনুযায়ী, হামলাকারীরা প্রথমে পাথর ছুঁড়ে নৌকার দিকে আঘাত করে, পরে লাঠি ও ধারালো দা নিয়ে নৌকায় উঠে পড়ে এবং জেলেদের মারধর শুরু করে। হামলায় পাঁচজন জেলে রক্তাক্ত হন এবং কয়েকজনকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। শওকত হোসেনকে টেনে তুলে হামলাকারীরা নিজেদের বোটে নিয়ে গিয়েও শারীরিক নির্যাতন চালায়। এরপর তাদের মাছ, মোবাইল ফোন এবং ব্যক্তিগত মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।

শওকতের অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন বাঁশখালীর প্রেমাশিয়া এলাকার ফিরোজ নামের এক ব্যক্তি। তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে, ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে আনোয়ারা বার আউলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এটি জেলেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ বলেই মনে হচ্ছে। জলদস্যুদের কোনো সংঘবদ্ধ উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ ঘটনার পর উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, সাগরে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের হুমকির মুখে পড়ে মাছ ধরতে হয়। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জীবিকার পথ আরও সংকুচিত হয়ে পড়বে। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতরদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।