জানুয়ারি থেকে ছয় মাসে ধর্ষণের শিকার ৩০৬ শিশু
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩০৬ জন শিশু, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেশি। শিশু নির্যাতনের এমন ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লিডো)। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
এ আয়োজন করে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে লিডোর সংগঠন ‘ইয়াং জার্নালিস্ট চেঞ্জমেকার গ্রুপ ফর ক্রিয়েটিং পজিটিভ আউটলুক টুওয়ার্ডস অপ্রেসড চিলড্রেন’। তারা সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে। সংগঠনটি বলছে, ইউনিসেফের প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সুরক্ষামূলক পরিবেশেও নিরাপদ নয় শিশুরা।
তাদের ভাষ্য, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরির জন্যও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ সময় আটটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত; পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধে নিয়মিত পরিদর্শন ও অভিযোগ ব্যবস্থা কার্যকর করা; শিশুশ্রম বন্ধ ও বিকল্প সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত; শিশু নির্যাতনের মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার, অভিভাবক-শিক্ষক ও নিয়োগকর্তাদের জন্য সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র নিয়ম ভঙ্গ করলে পরীক্ষার্থীর ফল স্থগিত রাখবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
পাশাপাশি সংবাদ প্রচারে শিশুর পরিচয় গোপন রাখা ও ইতিবাচক প্রচার জোরদার; সরকার ও এনজিওর সমন্বিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সাইবার বুলিং ও অনলাইন অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ আইন ও শিশুবান্ধব হেল্পলাইন চালু করার কথা বলা হয়েছে। সংগঠনটি গণমাধ্যমকে আহবান জানিয়ে বলেছে, তারা যেন এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিব্যাপকভাবে তুলে ধরে এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় সমাজ ও রাষ্ট্রকে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে ।
লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন , আজকের শিশুরা নানা নির্যাতন পেরিয়ে অনেক সংগ্রামের পর এ পর্যায়ে এসেছে। সবার সহযোগিতায় তারা এগিয়ে যাবে। ইয়াং জার্নালিস্ট চেঞ্জমেকার গ্রুপের সদস্য মাহফুজা সুলতানা মুন্নি বলেন, পথশিশুরা মার খায়, আঘাত সহ্য করে। তাদের নিয়ে আরও কাজ করা দরকার।