সাংবাদিকের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা
গাজীপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলা ও আরেকজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি বলছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্ত সাংবাদিকতা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক স্তম্ভ, আর সাংবাদিকদের ওপর এমন বর্বর হামলা কেবল ব্যক্তি নয়—মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) গাজীপুরে বিএনপির এক নেতার চাঁদাবাজির খবর প্রকাশ করায় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত সাংবাদিক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ওই এলাকার আরেক সাংবাদিককে কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এ ঘটনাকে ‘নৃশংস ও ন্যাক্কারজনক’ বলে আখ্যা দেন এবং জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘জুলাই ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের যে ফলাফল, তা নানা বাধা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের সাহসিকতায় সামনে এগিয়েছে। ফলে তাদের ওপর এমন বর্বরতা গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য গুরুতর হুমকি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
বিবৃতিতে বলা হয়, এসব হামলার দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। সরকারকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও ‘কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি-সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোগী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিত একটি দল হিসেবে বিএনপির কাছ থেকে এমন সহিংস আচরণ অনভিপ্রেত এবং জুলাই আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি।’
বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিজেদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা স্পষ্ট করতে হবে।’
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল।