তিন মাসের মধ্যে আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ: মেয়র

  © সংগৃহীত

রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর নামে তিন মাসের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে অবরোধ তুল নেওয়ার আহবান জানিয়ে এ আশ্বাস দেন তিনি।

মেয়র বলেন, ‘দুই মাস কিংবা সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে আবরার চৌধুরীর নামে ফুটওভার ব্রিজ করা হবে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের থেকে কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। এ ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাসের মালিকদের সযুক্ত করা হবে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব না। এ কাজটি আমরা খুব দ্রুত করবো।’ এসময় ঘাতক বাসচালকের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ বিচার হবে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় আবরার আহমেদ চৌধুরীর নিহত হন। তিনি বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালস্ (বিউপি) এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র। ভাটারা এলাকায় রাস্তা পরাপারের সময় তাকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাসটি। ঘাতক বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা তা মানেননি। তিনি বাসচালকের শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহত শিক্ষার্থীর নামে সেখানে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান। এসময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত বাসের চালক, হেলপার ও মালিকের ফাঁসি, সু-প্রভাত ও জাবালে নূরসহ দুর্ঘটনা ঘটানো বাস কোম্পানীর রুট পারমিট বাতিল, চালক হেলপারের ডোপ টেস্ট, বাসসহ গণপরিবহনের চালক-হেলপারের আইডি কার্ড প্রদর্শন করা, জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস নির্মাণসহ নিহত আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ করা, জেব্রাক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন ইত্যাদি। বিইউপি’র তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনিক হাসানসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মেয়রের সঙ্গে কথা বলে লিখিতভাবে ১২ দফা দাবি পেশ করেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম, ‘সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস ওই রুটে চলতে দেওয়া হবে না। নিহত আবরারের নামে সেখানে তিন-চার মাসের মধ্যে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘খুব শিগগির ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাজধানীর বাস চলাচল একটি পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।’ এসময় অবরোধ তুলে নেওয়ার আহবান জানালেও শিক্ষার্থীরা তাতে সাড়া দেননি। পরে মেয়র সেখান থেকে চলে যান।


সর্বশেষ সংবাদ