বউ পেটানোর মামলায় আটক হিরো আলম

অভিনয়ের দৃশ্য
অভিনয়ের দৃশ্য

স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় বগুড়া সদর থানার পুলিশ। এর আগে আলোচিত-সমালোচিত এ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সাবিহা আক্তার সুমি।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, সুমিকে নির্যাতনের ঘটনায় তাঁর বাবা সাইফুল ইসলাম হিরো আলমকে আসামি করে মামলা করেছেন। তার প্রেক্ষিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ও স্ত্রী সাবিহা আক্তার সুমি জানান, হিরো আলম দুই-তিন মাস পরপর বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। এসেই কারণে-অকারণে স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন। তাদের ভাষ্য, মঙ্গলবার রাতে আশরাফুল আলম দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে এক মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। এতে স্ত্রী সুমি বাধা দিলে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় শ্বশুর সাইফুল আলম হিরো আলমকে মারধর করেন। পরে তাঁরা সুমিকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সুমি বলেন, মোবাইলে কথা বলতে নিষেধ করলে বলে আমার যা ইচ্ছে তাই করব। এভাবে থাকতে পারলে থাকো, না হলে চলে যাও। এর একপর্যায়ে আলম তেড়ে ওঠে আমার ওপর। আমার গলা চেপে ধরে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে জখম করে। এখন আমার তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব?

অবশ্য এর আগে অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেপ্তারের আগে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের নয়, সোমবার রাতের। তাঁর স্ত্রী মোবাইল ফোনে কারো সঙ্গে পরকীয়া করেন বলে তাঁর সন্দেহ। এজন্য তিনি কয়েকবার স্ত্রীর সিম নম্বরও পাল্টে দিয়েছেন। স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে পরিবারের লোকজন কথা বলায় সোমবার রাতে তিনি তাঁকে দুটি চড়-থাপ্পড় মেরেছিলেন।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে তাঁর শ্বশুর লোকজন নিয়ে এসে তাঁকে মারধর করেন। এরপর তিনি শ্বশুরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগ থেকে বাঁচতে তাঁর স্ত্রী ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং মামলা করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ