সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ  © সংগৃহীত

ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় এবার কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ (পুতুল) ১২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন তহমুল ইসলাম (২৭) নামের এক তরুণ। বাদী কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে। 

তহমুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিএনপির কর্মী। আন্দোলনের সময় পুলিশের হামলায় আমি আহত হয়েছিলাম। আমি আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় থানায় এসে মামলা করেছি।’

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। মঙ্গলবারের এ মামলায় প্রথমবারের মতো আসামি হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। যদিও এ মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে, ২ নম্বরে আছেন শেখ রেহানা। আবদুল হামিদের নামের বানান আ. হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন: ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ