‘প্রতিমা ভাঙচুরকারী ভারতীয় নাগরিক’ বিজ্ঞপ্তির পর ভোল পাল্টাল পুলিশ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মিতব্য দুটি প্রতিমা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল প্রাথমিকভাবে তাকে ভারতীয় নাগরিক বলে চিহ্নিত করার বিষয়টি জানায় পুলিশ। তবে এরপর তিনি বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এ সংস্থাটি।
ফরিদপুর জেলা পুলিশ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে—গ্রেপ্তার সঞ্জিত বিশ্বাস গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী গ্রামের নিশিকান্ত বিশ্বাসের ছেলে।
এর আগে সোমবার জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সঞ্জিত বিশ্বাস ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল—সঞ্জিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার!
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, সঞ্জিত বিশ্বাস ভারতীয় নাগরিক এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তিনি যে প্রতিমার ক্ষতিসাধন করেছেন—সে ব্যাপারেও আমরা নিশ্চিত নই। তবে ওই ব্যক্তিকে উন্মাদ বলে মনে হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে—গত সোমবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াতে প্রকাশিত হলে সঞ্জিত বিশ্বাসের (৪৫) ছবি দেখে তার বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস (৭২) জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, আটক ব্যক্তি তার ছেলে।
আরও পড়ুন: খাবার চুরির দায়ে কোটি টাকা বেতনের চাকরি খোয়ালেন ভারতীয় নাগরিক
‘‘তিনি (সঞ্জিত) মানসিকভাবে অসুস্থ, প্রায় ২৪-২৫ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়ে অনেকদিন ছিলেন পরবর্তীতে দেশে ফিরেন। তিনি প্রায় ৪ বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তারপর আর বাড়িতে ফিরে আসেননি এবং পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও নেই সঞ্জিতের’’—জানান নিশিকান্ত বিশ্বাস।
এর আগে শনিবার দিবাগত জেলার রাতে ভাঙ্গা বাজারে অবস্থিত হরি মন্দিরের কার্তিক ঠাকুরের হাতের আঙুল, ময়ূরের গলা মোচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং ভাঙ্গা থানার সামনে অবস্থিত কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সঞ্জিত বিশ্বাসকে গত রবিবার রাত ৮টার দিকে আটক করে জিডির ভিত্তিতে সন্দেহজনক ধারায় (১৫১) গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।