মোবাইল দেখে লিখে ধরা প্রাথমিক শিক্ষকের তিন নিয়োগপ্রার্থী

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পটুয়াখালী জেলার ইসহাক মডেল ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিদর্শন করতে গেলে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন যে, এই কক্ষে কেউ মোবাইল দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভিযান চালালে ধরা পড়েন ৩ পরীক্ষার্থী। পরে তাদেরকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক সপ্তাহ করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বলেন, পরীক্ষা চলাকালে আমাকে দেখে এক শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে বলে এই কক্ষে মোবাইল দেখে কেউ কেউ সুবিধা নিচ্ছেন। পরে আমি দরজা বন্ধ করে কক্ষে অভিযান চালিয়ে তিন পরীক্ষার্থীকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনসহ আটক করেছি। একজনের ফোনে প্রশ্নের উত্তর ওপেন করা ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পরীক্ষার কেন্দ্রে আসেন। পরে তাদের তিন জনকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়াও মির্জাগঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সূত্রে জানা যায়, প্রশ্ন কারেকশন করে কেন্দ্রে সরবরাহ করা দুই সদস্যকে তখনই শনাক্ত করা হয়েছে। দু’জনই মির্জাগঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুর রহমান ওই তিন পরীক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত পরীক্ষার্থীরা হলেন- কলাপাড়া উপজেলার রুম্মান (২৯), মির্জাগঞ্জ উপজেলার মেয়ে ইতি মনি (২৭) ও একই উপজেলার মেয়ে মারুফা আক্তার (৩০)। এই ঘটনায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তার নাম জানা যায়নি।

এর আগে গতকাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আরও ৮ জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ও এলাকা জায়গা থেকে প্রায় ১১৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু মোবাইল ফোন ও ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ