‘ছুরি মেরে’ জেলে যান ছাত্রলীগ কর্মী, বেরিয়ে হলেন খুন
বগুড়ায় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহরের নামাজগড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ মণ্ডল (২০) পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল হকের প্রথম স্ত্রীর ছেলে।
আরিফ মা তৈরণ বেগমকে নিয়ে শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ায় থাকতেন। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা বলেন, পদ না থাকলেও কর্মী হিসেবে সব কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন আরিফ। তিনি হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত অক্টোবর মাসে শুরুতে শহরের খাঁ পাড়ার সাকিবকে ছুরি মেরে আহত করার অভিযোগ ওঠে আরিফের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে গত ২৫ নভেম্বর জামিনে বের হন। মঙ্গলবার রাতে বন্ধু নাইম ও নাফিকে নিয়ে সুলতানগঞ্জ পাড়া ঈদগাহ মাঠের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন আরিফ।
এ সময় ৮-১০ জন যুবক এসে তাকে ধাওয়া করে নামাজগড় এলাকায় ধরে। সেখানে কুপিয়ে ও গলা কেটে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে হাঁসুয়া, ১০টি ধারালো অস্ত্র ও জিআই পাইপ জব্দ করেছে পুলিশ। সদর থানার ওসি সাইহান অলিউল্লাহ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে আরিফের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী দগ্ধ
আরিফের মা তৈরণ বেগম বলেন, ‘ছেলের পরিচিতরাই তাকে খুন করেছে। সবার সামনে হত্যা করলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। সে সাকিবকে ছুরিকাঘাত করেনি। মীমাংসার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। ছেলেকে ওরা এভাবে মেরে ফেলবে জানলে তাকে জেল থেকে বের করতাম না।’
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মীর মনির হোসেন বলেন, পূর্ববিরোধে আরিফকে হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে। সন্দেহভাজন হিসেবে নাইম, নাফি ও মূল অভিযুক্ত সাকিবসহ চারজনকে শনাক্ত করেছেন। অভিযান চালিয়েও তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। ২০১৯ সালে নুরুল ইসলাম ভোলা হত্যার প্রধান আসামি নাইম।