ঢাকায় অতিবর্ষণে বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল এক পরিবারের তিনজনসহ চারজনের

প্রবল বর্ষণে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ‍ডুবে যায়
প্রবল বর্ষণে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ‍ডুবে যায়  © সংগৃহীত

রাজধানীতে চলা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি বৃহস্পতিবার রাতে তীব্রতা পায়। কিছুক্ষণ পরপর হয় বজ্রপাত। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে রাজধানী। সড়ক ও অলিগলিতে জমে যায় কোমরসমান পানি। এরইমিধ্যে সড়কে জলাবদ্ধতায় মিরপুরে বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের। গুরুতর আহত হয়েছে এক শিশু।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি ছয় বছরের মধ্যে রেকর্ড।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি অতিভারী মাত্রার বৃষ্টি। 

জানা গেছে, প্রবল সৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় মিরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাসস্থল মিরপুর মডেল থানার সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন হাজী রোডে ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশের রাস্তায়। ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জলাবদ্ধতার মধ্যে এক পর্যায়ে বজ্রপাত হলে পানিতে পড়ে বিদ্যুৎস্পর্শে চারজন মারা যান। নিহতরা হলেন– গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর খারাট গ্রামের মো. মিজান (৩০), তাঁর স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫), মেয়ে লিমা (৭ বছর)। তারা রূপনগরের ঝিলপাড় বস্তিতে থাকতেন।

আরো পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী রুমানা

এ ছাড়া নেত্রকোনার কাশিয়াজুলির সাতগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ অনিক (২০) মারা গেছেন। থাকতেন একই এলাকায়। নিহত মিজানের ছেলে হোসাইন (৭ মাস) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফেসবুকে ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটুসমান পানিতে পড়ে আছে চারজনের লাশ। 

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশ এলাকায় লঘুচাপের কারণে শুক্রবারও মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। তবে ঢাকায় সামান্য বৃষ্টির কথা বলা হলেও রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে।  ঢাকায় ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় ২০০৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে। সেদিন ৩৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালের ২৮ জুলাই হয় ৩৩৩ মিলিমিটার। এর পর কয়েকবার ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ২০২২ সালে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ