চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বসতভিটা জমি দখলের অভিযোগ

চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভিটাবাড়ির দখল ও হেনস্থার অভিযোগ
চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভিটাবাড়ির দখল ও হেনস্থার অভিযোগ  © ফাইল ছবি

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলায় ইউপির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভিটাবাড়ি দখল ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। দখলের ভিডিও করতে গেলে ফোন ছিনিয়ে নেয়ারও ঘটনা ঘটেছে। বৃহষ্পতিবার (৬ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনার ভুক্তভোগী হলেন খলসি গ্রামের মো. আব্দুল মাজেদ ও তার পরিবার। ভুক্তভোগী স্থানীয় হেলাতলা আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। ২০১৭ সাল থেকে তিনি অসুস্থ্য। মাজেদের বড় ভাই আবু তালেব সরদার হেলাতলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সূত্রে বর্তমান চেয়ারম্যান মোয়াজ্জ্বেম হোসেনের সাথে ঝামেলা তাদের। আর তার জের ধরে জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 
চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জমি দখলের করতে গেলে ভুক্তভোগী পরিবার সেটির ভিডিও করতে যায়। ভিডিওতে দেখা গেছে, আব্দুল মাজেদের ছোট মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিচ্ছেন চেয়ারম্যান। এসময় চেয়ারম্যান বলতে শোনা যায়, এই ভিডিও করে কে? ফোন রাখ বলে তিনি ফোনটি ছিনিয়ে নেন। দখলের সময় ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্যে করে ইউনিয়নের অভিভাবক হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করলে, চেয়ারম্যান উচ্চস্বরে বলেন, হ্যাঁ হারিয়েছি। বর্তমানে আতংকিত পরিবারটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে খলসি গ্রামের ৩৪ শতক জমি ক্রয় করেন আব্দুল মাজেদের। তখন থেকেই তিনি সেখানে বসবাস করছেন । কিন্তু চারপাশের সীমানা নিয়ে বিবাদ থাকায় বেশ কয়েকবার সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কেউ সেটা মানতে চায়নি। ফলে পরবর্তীতে আবারো ঝামেলা দেখা দেয়। পরে সমস্যা সমাধান করার জন্য  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সীমানা সংলগ্ন সকল জমির মালিক ও গ্রামের কয়েকজন ব্যাক্তিসহ সর্বশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়। যা সবাই মেনেও নেয়। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের প্রায় ৩ শতক জমি রাস্তায় পাওনা হয়। 

ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, রাস্তার অপর প্রান্তে থাকা পুকুরের পাড় ভেঙে তাদের জমিতে চলে এসেছে। তখন চেয়ারম্যান বলেছিলেন, রাস্তা নির্মাণ করার সময় জমির সীমানা ঠিক করে নিতে। সে অনুযায়ী তারা রাস্তা বাধাই করার পর আরো এক হাত জায়গা ছেড়ে দিয়ে জায়গাটা ঘিরে  গাছ লাগান।  সেসময় মেম্বার বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পর জমি দখলে নিতে। কিন্তু দখলে নেওয়া ১০-১২ দিন পরই চেয়ারম্যান মেম্বর ও তাদের দলবল নিয়ে এসে বেড়া উচ্ছেদ করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জ্বমে হোসেনের ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুনীর উল গিয়াস দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ