বুয়েট শিক্ষার্থী সানির মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে ৩০ মে
দোহারের মৈনট ঘাটে পদ্মার পানিতে ডুবে বুয়েটের শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার (৩ মে) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
বিষয়টি নিশ্চত করে দোহার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শওকত হোসেন জানান, আজ ৩ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ জুলাই একসঙ্গে ১৫/১৬ যুবক পদ্মা নদীতে ঘুরতে যায়। সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। রাতেই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোহার থানা পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ১৫ জুলাই সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মেঘালয়ে ঘুরতে গিয়ে বুয়েট ছাত্রীর মৃত্যু।
সুরতহাল শেষে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু। এ মামলার ১৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন।