জঙ্গি ছিনতাই
এমআইএসটির সাবেক ছাত্রী ফাতেমাসহ দুই নারী আরও ৩ দিনের রিমান্ডে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৪ PM , আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৪ PM
গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় পলাতক একজনের স্ত্রীসহ দুই নারীর আবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ শুক্রবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আহম্মেদ।
রিমান্ডে যাওয়া দুই নারী হলেন- পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা তাসনীম ওরফে শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার ওরফে হুসনা (২২), যিনিও এক জঙ্গির স্ত্রী বলে সিটিটিসির ভাষ্য। এর আগে গত ৮ এপ্রিল এ দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত।
এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসি পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ফাতেমা তাসনীমের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে হুসনা আক্তারের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন: এমআইএসটির সাবেক ছাত্রী ফাতেমা যেভাবে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়ান
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা তাসনীম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের দিন শিখা তার বাবার সঙ্গে আদালতে এসেছিলেন। তিনি বন্দি জঙ্গি এবং বাইরে থাকা সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করছিলেন। এক পর্যায়ে কৌশলে বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি।
কে এই ফাতেমা
ফাতেমা তাসনীম ওরফে শিখা পড়াশোনা করেছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি)। ২০১৪ সালে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম শ্রেণি পেয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। ভাইয়ের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের আদর্শে দীক্ষিত হন তিনি। বিয়ে করেন আনসার আল ইসলামের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেলকে। বিয়ের পর গভীরভাবে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন ফাতেমা।