ধর্ষণ মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে পদে বহাল শিক্ষক, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েও, জামিনে মুক্ত হয়ে পদে বহাল বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জিন্নাতুল ইসলাম। পুলিশের তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেলেও নিজ পদে বহাল থেকে নিয়মিত চাকরি করছেন। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণের মতো অপরাধ করেও তিনি সাময়িক বরখাস্ত হননি শুধু অধ্যক্ষের কাছের মানুষ হওয়ার কারণে। অধ্যক্ষও বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানাননি।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর রাতে শহরের কামারগাড়ি রানার সিটির বাসা থেকে সদর থানা–পুলিশ জিন্নাতুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন জিন্নাতুল ইসলামকে পুলিশ কারাগারে পাঠায়। দুই মাস কারাগারে থাকার পর জিন্নাতুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়ে কর্মস্থলে যোগদান করেন। কিন্তু কারাগারে থাকাকালীন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেনি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ডে কেয়ার সেন্টারে কুড়ালের হামলায় চার শিশু নিহত।
বগুড়া প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী জাহানুর রহমান বলেন, সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী জিন্নাতুল ইসলাম গ্রেপ্তারের তারিখ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হিসেবে গণ্য হবেন। মামলা নিষ্পত্তি অর্থাৎ বেকসুর খালাস পেলে তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। তথ্য গোপন করে বেতন–ভাতা উত্তোলন করে থাকলে তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ শাজাহান আলী বলেন, জিন্নাতুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। মামলাটি যেহেতু উচ্চ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ কারণে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানানো হয়নি।
এদিকে জিন্নাতুল ইসলামের পদে বহাল এবং তার ক্লাসে অস্বস্তি বোধ করছেন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে জিন্নাতুল ইসলামের ক্লাস বর্জন করেছিল ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা।