বাবা হারানো আফসানা কষ্টে পড়াশোনা শেষে নিচ্ছিলেন চাকরির প্রস্তুতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ১০:৪১ AM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৪ AM
ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মেধাবী ছাত্রী ছিলেন আফসানা মিমি। তবে তার জীবন ছিল নিদারুণ কষ্টের। বাবাকে ছোটবেলায় হারিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি হর্টিকালচার থেকে এমএস করেছেন। সার্টিফিকেট আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
আফসানার মা কানিজ ফাতেমার আহাজারিতে পরিবেশও নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ার বাসিন্দা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালের বড় মেয়ে তিনি। রোববার সকালে মা ও ছোট মেয়ে রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে তাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে তুলে দেন।
ঢাকা থেকে বাকৃবি যাওয়ার কথা ছিল আফসানার। পথে অন্যদের সঙ্গে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। বাবা আবু হেনা বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা ছিলেন। দু’বোন ছোট থাকতেই ২০ বছর আগে তিনি মারা যান। মা দুই মেয়েকে বহু কষ্টে বড় করেছেন। কখনোই বাবার অভাব বুঝতে দেননি।
আফসানার বোন রূপা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। শনিবারও মায়ের জন্য ওষুধ কিনে দেন আফসানা।
প্রতিবেশী ও সাবেক কাউন্সিলর জাহেদ মাহমুদ বাপ্পী বলেন, আফসানা ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির। হাসিখুশি মেয়েটি সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করত। সংসারে কোনো পুরুষ ছিল না। দুই বোন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছে। তার এভাবে চলে যাওয়া সংসারে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
মামা এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির কর্মকর্তা সাইফুল আলম লিটন বলেন, ভাগনি সব সময় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখত। সে নিজেকে প্রস্তুত করেছিল। চাকরি ও বাড়ি করার পর বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাবার মতোই অসময়ে চলে গেল আফসানা।