০৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৪

ঘুম থেকে জেগে মায়ের নিথর দেহ দেখল সাদিয়া

শিশু সাদিয়া  © সংগৃহীত

ছয় বছরের শিশু সাদিয়া গতকাল শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে জেগে পাশে পড়ে থাকতে দেখে মায়ের নিথর দেহ। কোনো কিছু না বুঝে মা মা বলে বারবার ডাকতে থাকে। অনেক ডাকাডাকির পরও মায়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে পাশের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেশীদের বলে। পরে পাশের বাড়ির লোকজন এসে কালোকাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় সাদিয়ার মায়ের লাশ দেখতে পান।

ঘটনাটি মাদারীপুরের শিবচরের। পুলিশের ধারণা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে গৃহবধূ আকলিমা আক্তারকে। খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, ওসি মো. আনোয়ার হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমির

সেরনিয়াবাতের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে। আকলিমার মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ও বিবস্ত্র ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাস্তায় আছড়ে কন্যাশিশুকে হত্যা করলেন বাবা

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের ভেন্নাতলা গ্রামের ইতালি প্রবাসী শাহালম ফকিরের স্ত্রী আকলিমা একমাত্র ছোট মেয়ে সাদিয়াকে (৬) নিয়ে বসবাস করতেন।

নিহত গৃহবধূর ননদ বলেন, সাদিয়া ঘুম থেকে জেগে ওর মাকে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অনেক বার ডেকেও সাড়া পায়নি। পরে আমাদের ঘরে গিয়ে বলে আমার আম্মু কথা বলে না, ঘুম থেকেও ওঠে না। এ কথা শুনে আমরা গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

নিহতের চাচাতো ভাই মাওলানা ফাইজুল্লাহ বলেন, আমি খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি আমার বোনের মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা। শরীরে আঘাতের দাগও রয়েছে। আমরা চাই, যে বা যারা আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে আকলিমাকে। তদন্ত ও অভিযান চলছে।