ফেসবুক লাইভে ছাত্রলীগ নেতার নাম না বলায় সাংবাদিককে মারধর, থানায় মামলা
বিজয় দিবসের লাইভ অনুষ্ঠানে এক ছাত্রলীগ নেতার নাম না বলায় সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভূগী সাংবাদিক।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সাংবাদিক মো. ফারুক হাসান বরিশাল মেট্রো নামে একটি অনলাইন পোর্টালে কাজ করেন। ঘটনার দিন গত ১৬ ডিসেম্বর ফেসবুকে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করছিলেন তিনি। তাতে ছাত্রলীগ নেতা রাশেদের নাম না বলায় তার নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী শনিবার বিকেলে ওই সাংবাদিককে টরকী গার্লস স্কুল মাঠে নিয়ে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে তার একটি পা ভেঙে দেয়।
মামলায় ছাত্রলীগের আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, গৌরনদী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ হাওলাদার, পৌর ছাত্রলীগ কর্মী শামীম দেওয়ান, ছালাম খান, সাঈমুন তালুকদার, হেলাল তালুকদার, সজীব তালুকদার, রাব্বি সরদার ও অন্তর কাজী।
আরও পড়ুন : ঢাবিতে আওয়ামী লীগ নেত্রীর ফোন নিতে গিয়ে ধরা ছিনতাইকারী
এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক ফারুক হাসান বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর ফেসবুক লাইভে তিনি বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলছিলেন। এ সময় প্রশাসন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীর নাম বলেছেন। কিন্তু পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ হাওলাদারের নাম কেন বলেননি প্রশ্ন তুলে শনিবার বিকেলে দুদফায় হামলা চালিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয়।‘
এদিকে, হামলায় জড়িত থাকায় বহিষ্কার করা হয়েছে গৌরনদী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ হাওলাদারকে। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাশেদ হাওলাদারকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে, অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে রাশেদ হাওলাদার বলেন, ‘হামলার সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় ফারুক হাসান বাদী হয়ে ১৩ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।