এইচএসসির ছাত্রী গিয়েছিলেন বাবাকে বাঁচাতে, গেল নিজের প্রাণটাই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৫ AM , আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৫ AM
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সংর্ঘষের সময় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের। আহত হয়েছেন আরও চারজন। রোববার (৪ ডিসেম্বর) উপজেলার দিস্তাপড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এইচএসসি পরীক্ষার্থীর নাম মোছা. আঁখি আকতার (২০)। দিস্তাপড়া গ্রামের আকতারুল ইসলামের মেয়ে তিনি।
আঁখি বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এবার পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, রশিদা বেগম, শাকিল হোসেন, সাবিনা আকতার, মিস্টার ও রুবেল। তাদেরকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আখতারুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম এবং খালাত বোন রোকেয়া বেগমের ৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। রোববার দুপুরে জমির দখল নিতে যান রোকেয়া বেগম। এসময় অপরপক্ষের লোকজন বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় আঁখি। তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আঁখির।
আরো পড়ুন: বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
আখিঁর খালাতো ভাই জাহিদ হাসান জানান, ওই জমিতে রোববার রিয়াজুল ইসলাম ঘর তুলতে যান। এ সময় রোকেয়া বেগমের লোকজন বাঁধা দেয়। এতে সংর্ঘষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আখিঁর বাবা আকতারুল ইসলাম আহত হন। পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে খবর শুনে দৌড়ে ঘটনাস্থলে যান বাবাকে বাঁচাতে। এ সময় প্রতিপক্ষ আখিঁর মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুত্বর আহত হন।
তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আকতারুল ইসলাম ও শামিউল ইসলাম নামে দু’জন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।