বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবার সামনে লাশ কিশোরী
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের লিফটে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন কিশোরীর বাবা ও ভবনের দারোয়ান। তাকে উদ্ধার করে বান্দরবান হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভবনটির ওপরের অংশ আবাসিক।
পুলিশ ও ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী কিশোরী ভবনের পাঁচ তলার বাসিন্দা মো. সোহেলের বাসায় কাজ করত। সেখানেই থাকতো সে। ভবনটিতে দুটি লিফট থাকলেও এ লিফটি তেমন ব্যবহার হয় না। কিশোরীর নাম সাবেকুন্নাহার (১৩)। তার বাড়ি বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়াখোলায়। তার বাবা নুরুল আমিন।
নুরুল আমিনের বরাত দিয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মির্জা জহির উদ্দিন জানান, বুধবার রাত থেকে সাবেকুন্নাহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে ভবনের দারোয়ান ওপরে যাওয়ার জন্য লিফটে ঢুকলে ওপর থেকে রক্ত পড়তে দেখেন। হঠাৎ তিন তলায় আটকে গিয়ে আলো নিভে যায়। এ সময় দরজা খুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওপর থেকে মরদেহ ভেতরে পড়ে।
আরো পড়ুন: রাজধানীতে কক্ষে ঝুলছিল যুবকের নিথর দেহ, নিচে কিশোরী
নুরুল আমিন লিফটে আটকা পড়ে যাওয়ায় ওপর থেকে মরদেহ পড়তে দেখে ভয় পান ও চিৎকার করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে প্রথমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় লিফট ভেঙে বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নুরুল আমিন বলেন, লিফটের দরজা খুলতেই লাশ সামনে পড়ে। ভয়ে চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। অন্ধকারে মেয়ের লাশ চিনতে পারিনি।