স্কুলছাত্র রবিউলের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৪ PM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২৭ PM
বগুড়ায় স্কুলছাত্রের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। স্কুলছাত্র রবিউল ইসলামের (১৭) হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ করেন তারা।
শনিবার দুপুর ৩টায় এ অবরোধ শুরু হয় শহরের গোদাড়পাড়া বাজারে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে। নিহত রবিউল টেকনিকাল ট্রেনিং সেন্টার বগুড়া নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল এবং তার বাড়ি উত্তর গোদারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম নওশাদ আলী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে তিন বিসিএস শেষ করার পরিকল্পনা পিএসসির
এ সময় রবিউলের হত্যাকারী হিসেবে পারভেজ নামে এক যুবককে অভিযুক্ত করা হয় এবং তার ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়। অবরোধ চলাকালে শত শত যানবাহন আঞ্চলিক এই মহাসড়কের দু'পাশে আটকা পড়ে, যার ফলে তৈরি হয় তীব্র যানযটের। যান চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা। পরে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন থানা পুলিশের সদস্যরা।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী অবরোধ স্থলে এসে দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেওয়ার পর এলাকাবাসী বিকেল ৪টার দিকে অবোরধ তুলে নেয়।
রবিউলের বাবা নওশাদ আলী জানান, ‘আমার ছেলে কখনও কারও সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়ায়নি। তাকে কারণ ছাড়া খুন করা হলো। আমি জড়িতদের বিচার চাই। আর যেনো কোনো বাবার বুক খালি না হয়।’
রবিউলের বন্ধু পাপ্পু মিয়া বলেন, গতকাল রাতে আমি ও রবিউল খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় ভুলবশত পারভেজের সঙ্গে রবিউলের ধাক্কা লাগে। এ জন্য হুট করে পারভেজ চাকু নিয়ে রবিউলকে আঘাত করতে শুরু করে। আমাকে মারতে আসলে আমি দৌড়ে আত্মরক্ষা করি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পারভেজ এলাকায় আগে থেকেই বখাটে হিসেবে পরিচিত। এর আগেও সে নানা অপকর্ম ঘটিয়েছে। প্রতিবারই সে প্রভাবশালী কোনো মহল বা অন্য কোনো মাধ্যমে রক্ষা পেয়েছে।
বগুড়া উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সুজন মিঞা বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে রবিউলের লাশ নিয়ে নিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। এ সময় আমরা তাদের আশ্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
প্রসঙ্গত, শহরের উত্তর গোদারপাড়া এলাকায় শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কতিপয় দুর্বৃত্ত রবিউলকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় স্থানীয় যুবক পারভেজসহ দু'জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন নিহত রবিউলের বাবা নওশাদী আলী।