০৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:২৭

বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ৫২১টি পাসপোর্ট নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

গ্রেফতার দুজন  © সংগৃহীত

কাজের সন্ধানে বিদেশে যেতে যান অনেকেই। এমন আগ্রহী দরিদ্র মানুষদের বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে একটি চক্র। গত দুই বছরে চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে তিন কোটি টাকা। সম্প্রতি চক্রের প্রধান ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শান্তিনগর থেকে চক্রের প্রধান মাহবুব উল হাসান (৫০) এবং তাঁর সহযোগী মাহমুদ করিম (৩৬) গ্রেপ্তার হয়েছেন।  এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫২১টি পাসপোর্ট, বিদেশে চাকরির জন্য তৈরি ভুয়া কোর্সের সনদ ৬৫টি, ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট ৩০০টি, ভুয়া কোভিড ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট ২২৫টি, সৌদি, ইরাক, কুয়েত, দুবাই, রোমানিয়া, কানাডা ও কম্বোডিয়ায় চাকরির ভুয়া চুক্তিপত্র, ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট, টাকা গ্রহণ রেজিস্টার ৩টি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ১৫টি, রোমানিয়ান জাল ভিসা ৭টি, জাল কাগজ পত্র তৈরির ব্যবহৃত কম্পিউটার, স্ক্যানার এবং প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিক স্কুলে এক হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আসছে

গতকাল শুক্রবার ঢাকায় র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, এই চক্র ৫০০ ব্যক্তির পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দালালদের মাধ্যমে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫২১টি পাসপোর্ট; বিভিন্ন দেশের চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের ভুয়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে। দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে দিয়েছেন যারা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে আগ্রহী। ইউরোপ যেতে আগ্রহীরা দিয়েছেন ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। টাকা নেওয়ার পর বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র সরবরাহ করেছেন তারা। তবে কেউই পারেননি বিদেশে যেতে। বিদেশে যেতে বিলম্ব দেখে ভুক্তভোগীরা অর্থ ফেরত চাইলেও চক্রের প্রধান মাহবুব উল আলম ফেরত দিচ্ছিলেন না।

র‍্যাব কর্মকর্তারা আরও জানান, মাহবুব উল আলম ২২ বছর ধরে সংঘবন্ধ মানব পাচার ও প্রতারক চত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভুক্তভোগীদের তাঁরা ভ্রমণ ভিসায় বিদেশ পাঠাতেন। তাঁরা বিদেশে গিয়ে বুঝতে পারতেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার পর ভুক্তভোগীদের জিম্মি করতেন সেখানে অবস্থানকারী চক্রের সদস্যরা। সেখানে তাঁদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভুক্তভোগীরা সেখান থেকে পালিয়ে নিজেদের চেষ্টায় দেশে ফিরে আসতেন।