অধ্যাপক হওয়ার জন্য রাবি শিক্ষক তাহেরকে হত্যা সহকর্মীর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬৮ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশিত হয়। এস তাহের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল খারিজ করে গত ৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, তাহেরের ছাত্র ও পরে সহকর্মী হওয়া মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জাহাঙ্গীরের ভাই আবদুস সালাম এবং আত্মীয় নাজমুল।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ২০০৮ ও ২০০৯ সালে আপিল করেন। আপিলের ওপর ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট।
আরো পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছিত করার ঘটনায় রাবি ছাত্র বহিষ্কার
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, অধ্যাপক হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে এস তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মহিউদ্দিন। তাহের বেঁচে থাকলে তাঁর পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ শূন্য, ধারণা থেকে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। অপর তিনজন আর্থ, সেবা ও কম্পিউটার দিয়ে হত্যার অপরাধ করেন।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাইরে ম্যানহোলে এস তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২২ মে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে বিভাগের এক শিক্ষকসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় দুজনকে।